টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় ও এর উপকারিতা
টানা সাত দিন কালোজিরা খেলে কি হয় জানেন? না জেনে থাকলে এই আর্টিকেলটি পড়ে ইনশাআল্লাহ টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। নিচে কালোজিরা সম্পর্কে সকল তথ্য সুন্দরভাবে আলোচনা করা হলো।
টানা সাত দিন কালোজিরা খেলে কি হয় এই বিষয়টির মধ্যে আপনি কালোজিরার উপকারিতা, গুনাগুন আবার কিছু ক্ষতিকর দিকও জানতে পারবেন তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে জেনে নিন টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়।
সুতিপত্রঃ টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
- টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
- প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
- সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়
- রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
- প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
- কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়
- কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস
- প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
- FAQ/সাধারণ প্রশ্নোত্তর
- শেষ কথা-টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
কালোজিরা শুধু ছোট ছোট দানা নয়,এটার মধ্যে রয়েছে বিস্ময়কর শক্তি এবং প্রচুর উপকারিতা। প্রাচীনকাল থেকেই কালোজিরা মানব দেহের রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে আসছে। আধুনিক বিজ্ঞানেও কালোজিরার অসংখ্য গুনের স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। এতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি,ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে থাকে।
বলতে গেলে কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ। হাদিসেও বর্ণিত হয়েছে,"মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ হলো কালোজিরা"। কালোজিরায় রয়েছে ফসফরাস,কার্বোহাইড্রেট,ফসফেট,লৌহ ছাড়াও জীবাণুনাশক বিভিন্ন উপাদান। কালোজিরায় ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন ও শক্তিশালী হরমোন,প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।
আরো পড়ুন-ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। প্রতিদিন নিয়মিত খাবারের সঙ্গে কালোজিরা খেলে পুরুষের শুক্রাণু সংখ্যা বৃদ্ধি পায় যা তার গোপন শক্তিকে অধিক বৃদ্ধি করে থাকে। চুল পড়া রোদেও কালোজিরা সাহায্য করে থাকে। কালোজিরা স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মনোযোগ ধরে রাখে।
রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই কালোজিরা। যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য কালোজিরা খাওয়া খুব কার্যকর। রক্তে বাজে কলেস্টরের মাত্রা কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি দেয়। এগুলো ছাড়াও কালোজিরা আরো বিভিন্ন উপকারিতা আছে। টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় তা নিচে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
আমরা সকলেই জানি কালোজিরা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণে খেলে শরীর ও মন দুটোই উপকার পেতে পারে। কালোজিরায় থাকা ভিটামিন এ ত্বক,চোখ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখে। এটিতে থাকা আইরন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত শক্ত করে।
কালোজিরা থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং জিংক চুল,ত্বক ও ইমিউন সিস্টেমের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কালোজিরাই থাকে ম্যাগনেসিয়াম যা স্নায়ু ও পেশির কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। এটিতে থাকে ফসফরাস যা হাড় ও কোষ গঠনের সহায়তা করে।
বাতের ব্যথায় যারা ভোগেন তাদের জন্য কালোজিরা খুবই উপকারী। এটি শরীরের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। কালোজিরার এন্টি-ইনফ্লামেটরি ও এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুন ত্বকের ব্রণ ও এলার্জি কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে থাকে।
যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কালোজিরা প্রাকৃতিকভাবে সহায়ক হতে পারে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে এটি আপনির শরীরের মেটাবডিজম বাড়ায় দিবে, খোদার পরিমাণ কমায় দিবে এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। আবার কালোজিরা হজমে সহায়তা করে এবং কষ্টকাঠিন্য দূর করে। যার ফলে নিয়মিত কালোজিরা খেলে আপনি পেটে সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
কালোজিরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জীবাণু ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। যার ঠান্ডা-কাশি,ইনফেকশন থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করবে। আশা করছি, টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছে নিচে আরও ভালোভাবে ধারণা দেওয়া হল।
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়
১.বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়-
বাজে কোলেস্টেরল শরীরকে অলস করে তোলে তাই সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। যা শরীরকে সুস্থ করে তোলে এবং অলসতা থেকে মুক্তি দেয়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
২.হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়-
কালোজিরা যেমন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে তেমন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। কালোজিরা LDL কোলেস্টেরল কমিয়ে HDL কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যার কারণে এই হৃদরোগে ঝুঁকি কমে যায়। এই কালোজিরা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৩.ডায়াবেটিসের প্রবণতা কমায়-
কালোজিরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বেশ উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে। এটির ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যাবে।
৪.ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে-
কালোজিরা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে থাকে। যা শরীরের নাইট্রিক এসিডেল উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ায় এবং করটিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত প্রবাহ সহজ করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয় জানিনা রক্তচাপের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
আরো পড়ুন-
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও কালোজিরা অনেক সাহায্য করে থাকে। কালোজিরা এই বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জারা জ্বালাপোড়া কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ক্যান্সারের কোষগুলো ধ্বংস করে নতুন কোষ তৈরিতে বেশ সহায়তা করে থাকে এই কালোজিরা। আশা করি সকালে খালি পেলে কালোজিরা খেলে কি হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
আমরা সকলেই জানি আমাদের শরীরের জন্য কালোজিরা অনেক উপকারী। রাতে কালোজিরা খাওয়ার কিছু উপকারিতা আছে যদি আমরা তা নিয়মিত খেতে পারি। নিচেটা আলোচনা করা হলো-
১. ঘুম ভালো হয় এবং স্নায়ু শান্ত রাখে
কালোজিরায় থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা মানসিক চাপ ও স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে। যার কারণে ঘুম ভালো হয় এবং স্নায়ুতন্ত্রও শান্ত থাকে।
২. হজম ও পেটের সমস্যা দূর করে
কালোজিরা পেটের গ্যাস ও বদহজম দূর করতে সাহায্য করে। রাতে নিয়মিত কালোজিরা খেলে অন্ত্র পরিষ্কার থাকে। যাদের রাতে খাওয়ার পর পেটে গ্যাস বা ভারীভাব হয় তারা কালোজিরা খেলে উপকৃত হবেন।
৩. হার্ট ও রক্তচাপের জন্য ভালো
কালোজিরা থাকা ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ হ্রাস করতে সাহায্য করে। যা হার্ট কে ভালো রাখে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
রাতে খালি পেটে কালোজিরা খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কালোজিরায় বিদ্যমান ভিটামিন বি,আয়রন,ফ্যাটি এসিড ও থাইমোকুইনন শরীরের ইমিউন রেসপন্স বাড়াতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত রাতে খেলে ঠান্ডা-কাশি,সংক্রমণ ইত্যাদির বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
কালোজিরা এমন একটি ভেজন উপাদান যার মধ্যে আছে অসংখ্য ওষধি গুন এবং উপকারিতা। তবে এর গুণ যেন সঠিকভাবে কাজ করে তার জন্য পরিমাণ মতো এটি খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা যেকোনো ভালো জিনিস যদি মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে এর উপকারের চেয়ে অপকারের পরিমাণটাই বেশি হয়।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বীজ আকারে দিনে সর্বোচ্চ এক চামচ কালোজিরা খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী। চাইলে আপনি সকালে এবং রাতে দুই ভাগে ভাগ করে নিয়ে খেতে পারেন। তাইলে আপনি কালোজিরার তেল করেও খেতে পারেন। এটি খাবারের পরে বা ঘুমের আগে খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভালো।
শিশুদের জন্য এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ বা এর চেয়ে কম খাওয়ানো উচিত। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুদেরকে খাওয়াতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে কালোজিরা তেল করে খাওয়াতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে আপনাদের পছন্দ মতো চিবিয়ে,গুঁড়ো করে অথবা তেল করে খেতে পারেন।
কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়
সাধারণভাবে বলতে গেলে,"না"। কালোজিরা খেলে গ্যাস হয় না বরং এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার উপশমে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সামান্য গ্যাস বা অস্থিরতা ভাব দেখা দিতে পারে।
কালোজিরা পেটের এনজাইম সক্রিয় করে ফলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং পেটে গ্যাস জমতে পারে না। এরমধ্যে বিদ্যমান থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটোরি উপাদান পাকস্থলীর এসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কালোজিরা বায়ু নাশক গুণসম্পন্ন যার ফলে পেটে জমে থাকা বাতাস বের করে দিতে সাহায্য করে।
তবে কিছু মানুষ কালোজিরা খাওয়ার পরে সামান্য গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এটা হয়ে থাকে যদি কেউ সকালে খালি পেটে বেশি পরিমাণে কালোজিরা খান তখন কিছু অস্বস্তি বা গ্যাস হতে পারে। কারো হজম শক্তি দুর্বল হলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি কারো খাদ্য তালিকায় এমন কিছু থাকে যা কালোজিরা সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে তাহলে সাময়িক গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
সাধারণভাবে বলতে গেলে কালোজিরা গ্যাস তৈরি করে না বরং গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা উপশমের সাহায্য করে থাকে। তবে কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খায় বা হজম শক্তি দুর্বল হয় তাহলে কিছু মানুষের পেটে অস্বস্তি বা গ্যাস হতে পারে।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস
কালোজিরা নিয়ে নবী করীম (সা.)-এর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা রয়েছে। কালোজিরা কে তিনি "সব রোগের মহা ঔষধ" বলে অভিহিত করেছেন, ইসলামিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর গুরুত্ব অনেক।
সহীহ বুখারী ও মুসলিমের হাদিসে বর্ণিত- "নিশ্চয়ই কালোজিরায় রয়েছে প্রতিটা রোগের জন্য শেফা, মৃত্যু ছাড়া।"-(সহীহ বুখারী,হাদিস:৫৬৮৮)
তিরজিমি শরীফে বর্ণিত - "তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করো, কারণ এতে সব রোগের উপশম রয়েছে, মৃত্যু ছাড়া।" ( তিরজিমি,কিতাবুস সিমা,হাদিস:২০৪১ )
নবী করীম (সা.) কালোজিরাকে সব রোগের জন্য শেফা বলেছেন শুধু মৃত্যুকে ব্যতিক্রম করেছেন। এইজন্য এটিকে আমাদের খাদ্যাভাসের অংশ করা সুন্নত এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই আমরা চেষ্টা করব নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার।
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
আমরা সকলেই জানি, কালোজিরা অনেক উপকারি তবে মনে রাখতে হবে যে কোন ভালো জিনিসও যদি মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত কালোজিরা খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। কালোজিরার মধ্যে রয়েছে তীব্র সক্রিয় উপাদান যা অতিরিক্ত গ্রহণে পেট ব্যথা,বমি ভাব ও গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। দুর্বল হজমশক্তি হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
এটি ওষুধের সঙ্গে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া করতে পারেন। যেমন-ডায়াবেটিসের ওষুধ কারণ কালোজিরা নিজেই ব্লাড সুগার কমাতে পারে ফলে ডোজ অতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে। আবার ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খেলেও এই প্রতিক্রিয়া হতে পারে কারণ কালোজিরা প্রেসারও কমায়, তাই দুটো একসাথে খেলে প্রেসার অতিরিক্ত কমে যেতে পারে।
আরো পড়ুন-
তাই যদি আপনি ওষুধ খান তাহলে খেয়াল রাখতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়া যাবেনা। আবার এটি অতিরিক্ত খেলে গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালীন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কালোজিরা অতিরিক্ত খেলে গর্ভাশয়ে সংকোচন ঘটতে পারে, যার সময় এর আগেই প্রসবের ঝুঁকে বাড়াতে পারে।
কারো এলার্জির সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কালোজিরা খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এর ফলে তোকে চুলকানি বা রেস, গলা খুসখুসে,চোখে পানি পড়া,শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। যদিও এটা খুব কমই ধরতে পারে তবে কারো অ্যালার্জি থাকলে সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চমাত্রায় কালোজিরা সেবনে লিভার এনজাইমের স্তর পরিবর্তিত হতে পারে,যাদের লিভার দুর্বল তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কালোজিরা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি তবে প্রতিদিন সঠিক মাত্রায় খাওয়াটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত খাওয়া ও অসাবধানতা বা ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটলে এটি ক্ষতির কারণও হয়ে যেতে পারে। তাই খালি পেটে অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো, নির্দিষ্ট মাত্রায় খেতে হবে এবং যাদের রোগ বা ওষুধ চলমান তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
FAQ/সাধারণ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালিজিরা খেলে কি হয়?
উত্তর: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে পেটের ফোলা ভাব কমে,হজম শক্তি বাড়ে এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়?
উত্তর:টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে আজমা ও এলার্জির মতো শরীরের নানা সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার উপায়?
উত্তর: এক চামচ কালোজিরা এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করলে দ্রুত ওজন কমে যায়।
প্রশ্ন: কালোজিরা খেলে কি ওজন কমে?
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই। কালোজিরায় থাকা নানা বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি শরীরের ওজন কমানো
প্রশ্ন: কালোজিরা কি চুলের জন্য ভালো?
উত্তর: হ্যাঁ। কালোজিরা একটি প্রকৃতিক উপাদান হওয়ায় এটি চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখতে সাহায্য করে।
শেষ কথা-টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
টানা ৭ দিন কালো খেলে কি হয় এই সম্পর্কে উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।উপরে কালোজিরার গুনাগুন,উপকারিতা ও কিছু অপকারিতা সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।আশা করছি আপনারা টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় এই সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি পেয়েছেন।
আপনি যদি টানা ৭ দিন সঠিক নিয়মে ও সঠিক পরিমাণে কালোজিরা খেয়ে থাকেন থাকলে ধীরে ধীরে শরীরের ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। সঠিক তথ্য পেতে আমার এই ওয়েব সাইট টি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমি আপনাকে সঠিক তথ্য দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।যদি আমার লেখায় কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার নজরে দেখবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url