OrdinaryITPostAd

রমজান মাসে খাদ্যতালিখায় যা যা রাখা দরকার

রমজান মাসে খাদ্যতালিখায় যা যা রাখা দরকার




রমজান মাস এলেই খাওয়া-দাওয়ার ধুম লেগে যায় । মানুষ অস্থির হয়ে পরে কি কি খাবে তার জন্য । পৃথিবীর সকল মুসলমানরা ইসলামের বিধান অনুযায়ী একই সময়ে একই নিয়মে রোজা পালন করে । তবে রোজা এলেই তাদের খাবার খাওয়ায় কোনো লাগাম থাকে না । রমজান মাসে খাবার গ্রহনের বিশেষ দুটি সময় থাকে আর তা হলো সেহরি ও ইফতার । সেহরি ও ইফতারের খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে রোজাদারদের বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে । শরিরকে সুস্থ রাখতে হলে এটাকে গুরুত্ত দিতে হবে । রোজার সময় শরীর ও বয়স বিবেচনায় রেখে খাবার গ্রহন করা উচিত ।


  • সেহরিতে কি খাব-

রোজা রাখার ক্ষেত্রে সেহেরির খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সেহরিতে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত । যেহেতু রোজা থাকা অবস্থায় অনেক্ষন না খেয়ে থাকতে হয় তাই সেহরিতে জটিল শর্করা খাবার গ্রহন করা উচিত । এই জটিল শর্করা খাবার গুলো ধীরে ধীরে হজম হয় । যার ফলে, দিনের বেলা কম খুদা লাগে । এই খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে- শস্যদানা বা বীজজাতীয় খাবার, অপরিশোধিত আটা, ময়দা এবং ঢেঁকিছাটা চাল । সেহরিতে ভাতের সাথে উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে । যেমনঃ মাছ, মাংস ও ডিম । সেহরির খাবারের তালিখায় অবশ্যই যেকোনো একটা সবজি খাওয়া দরকার।

  1. ইফতারিতে কি খাবো-


লেবুর শরবত শরীরের জন্য খুবই উপকারি । তাই লেবুর শরবত রাখতে হবে । তবে শরবতে কৃত্রিম ভাবে কোনো রং মেশানো যাবে না । বাজারে অনেক অসাদু বেবসায়ি আছে যারা বিক্রি বাড়ানোর জন্য শরবতে রং মেশায়ে থাকে যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই বাজার থেকে না কিনে চেষ্টা করতে হবে বাসাতেই শরবত বানিয়ে খাওয়ার ।  

ইফতারিতে ফল খেতে হবে । ফল শরিরের জন্য অনেক উপকারি । কারন ফলে থাকে প্রচুর পরিমানে

ভিটামিন ও খনিজ যা শরিরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে । এছাড়াও খাবারের আইটেমে মুরি, ছলা, চিরা, দই ও কলা রাখা যায় । তবে ভাজাপরার আইটেম না রাখাই উচিত কারন এতা শরিরের জন্য অনেক ক্ষতিকর । আবার সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে এটা খেলে গ্যাসের সমসসা হতে পারে তাই এটাকে এরিয়ে চলায় ভালো ।


খেজুর ইফতারিতে খাওয়া সবচেয়ে বেশি উত্তম । কেননা খেজুরে থাকে চিনি, ফাইবার, শরকরা, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা খেলে শরীর দ্রুত চাঙ্গা হয়ে উঠে । আর খেজুর হলো আমাদের প্রিও নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিও খাবার । 

ইফতারিতে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করতে হবে । আর যারা ঝাল খাবার পছন্দ করেন তারা সবজি ও ডিম দিয়ে লুডুলস খেতে পারেন । 


  • পরিমিত পানি পান করা-
রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারনে শরীরে পানির চাহিদা
অনেক বেশি থাকে । সেহরি খাওয়ারপর হাতে কিছু সময় রাখতে হবে যাতে ৩-৪ গ্লাস পানি পান করা যায় । আবার ইফতারির পর থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন । এইভাবে পানি পান করলে এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় না ।

  • তেল বা চর্বি জাতিয় খাবার পরিহার করা-

তেলে ভাজা খাবার শরিরের জন্য অনেক ক্ষতিকর । বিশেষ করে বাইরের দোকানের খাবারগুলো কারন তাদের তেল গুলো অনেক দিনের  পুরনো হয় । তায় ভাজাপুরা খাবার রোজার মধ্যে এরিয়ে চলায় উত্তম। আমরা তেলে ভাজা খাবারের পরিবর্তে ফলের সালাত খেতে পারি যা শরিরের জন্য বেশ উপকারি । এতে হজমশক্তিও বৃদ্ধি করে ।

  • পরিমিত ঘুম-

আমাদের সঠিক পরিমানে ঘুম খুবই দরকারি । একজন প্রাপ্ত বয়স্ক বেক্তির দিনে ৫-৭ ঘণ্টা ঘুমের

প্রয়োজন । তাই রোজার সময় চেষ্টা করতে হবে তারাহবির নামাজের পর দ্রুত ঘুমিয়ে পরার । অনেকে আছে যারা রাতে না ঘুমিয়ে একদম সেহরি করে ঘুমায়, যা একদম উচিত নয় । আবার খেয়াল রাখতে হবে উধিক ঘুম যেনো না হয় কারন সেটাও শরিরের জন্য ক্ষতিকর । রোজা থাকা অবস্থায় এটা করলে বদহজম হতে পারে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url